Md. A. Joheb Sharear

  The present time is the most opportune moment for the propagation and expansion of Islam. Because now there are no obstacles. The ordinary people of Muslim Bengal have been freed from the chains of servitude to Islamophobic fascist forces. People are now free and independent. They can now practice their religion freely. No one will be persecuted for wearing a beard or cap. No one will mock anyone for wearing a burqa or hijab. No one will insult someone praying by calling out “Gangi.” Now people can practice their deen (faith) freely. Those who are engaged in dawah should prepare a work plan. They should set missions, visions, and goals and work accordingly in their respective fields. No moment should be wasted now, and no opportunity should be missed. Special attention should be given to the youth in particular, but the elders should not be left out either. The main obstacle in establishing Islam has been the older generation shaped by Soviet-era half-secularism. They pray, yet a...

  বর্তমান সময়টি হলো ইসলামের প্রচার ও পসারের জন্য সর্বাধিক উত্তম সময়। কারণ এখন আর কোনো বাঁধা নেই। ইসলাম বিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট শক্তির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে মুসলিম বঙ্গের সাধারণ মানুষ। মানুষ এখন মুক্ত, স্বাধীন। এখন তারা স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবে। দাঁড়ি-টুপির কারণে নির্যাতিত হতে হবে না। বোরখা-হিজাব পড়ার জন্য কেউ কটুক্তি করবে না। নামাজে গেলে গঙ্গী বলবে না। এখন মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজেদের দ্বীন পালন করতে পারবে। যারা দ্বায়ী আছেন, তাদের উচিত একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। কিছু মিশন, ভিশন, গোল সেট করা এবং সেই অনুযায়ী নিজ নিজ ফিল্ডে কাজ করে যাওয়া। এক মূহুর্ত সময়ও এখন নষ্ট করা যাবে না। কোনো সুযোগই হাত ছাড়া করা যাবে না। বিশেষ করে তরুণদের প্রতি আমাদের বিশেষ মনোযোগ দেয়া উচিত। তবে বৃদ্ধদেরকেও ছাড়া যাবে না। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধাণ বাঁধা হলো এই সোভিয়েত যুগের হাফ-সেক্যুলাঙ্গার বৃদ্ধরা। এরা নামাজও পড়ে, আবার ৬০ এর দশকের বস্তাপঁচা সেক্যুলাঙ্গারিজম এর বয়ানও পেশ করে। এদেরকেও দাওয়াহ এর মাধ্যমে লাইনে আনতে হবে। সবচেয়ে বড় লড়াইটা হবে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কালচারাল। চেতনা পূঁজারীদে...

  In my life, I have seen many productive and intellectual people turn into garbage — solely because of Facebook. Facebook is like a dark blue world, where there's almost no way out once you enter. Slowly, you become disconnected from the real world and imprisoned in that blue darkness. Eventually, you drift away from your society and turn into an unsocial being. If you're a student, you'll notice your studies deteriorating daily. You'll see you no longer work with the same dedication if you're a businessman. If you're an employee, you'll find that you're no longer as focused or efficient at work as you once were. Gradually, your attention span and productivity start to decline. You, who once were the best employee, slowly became the worst. That’s the world side of the story. Now, let’s look at it from a religious perspective. Facebook controls your brain so you can no longer focus on prayer (salat) with the same tranquility as before. Even during salat,...

  From the British colonial period to the era of Pakistan, the official and educational language of East Bengal, now Bangladesh, was English. As a result, we see that those who studied during the British or Pakistani era can speak English much better than we do. Naturally, even someone who passed class five in those days could speak English better than we do. Although the spoken language of the people was Bengali, the official and educational language was English. Even after the emergence of Bangladesh as an independent state through the Liberation War of 1971, the official and educational language remained English. As a result, we had a qualitatively educated generation. Whatever else they may have done, neither Mujib nor Zia made the mistake of changing the official and educational language. But this mistake was made by the post-Zia dictator Hussain Muhammad Ershad. During his regime, he set us back by a hundred years by making Bengali the official and educational language. Among...

  আমার জীবনে আমি অনেক প্রোডাক্টিভ ও ইন্টেলেকচুয়াল মানুষকে গার্বেজে পরিণত হতে দেখেছি শুধু মাত্র ফেসবুকের কারণে। ফেসবুক হলো এমন এক নীল অন্ধকার জগত , যে জগতে আপনি একবার প্রবেশ করলে আর কখনো বের হতে পারবেন না। ধীরে ধীরে বাস্তব জগত থেকে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্দি হয়ে যাবেন এক নীল অন্ধকার জগতে। এরপর ধীরে ধীরে ছিটকে পড়বেন আপনার সমাজ থেকে। এক অসামাজিক জীবে পরিণত হবেন আপনি। যদি ছাত্র হয়ে থাকেন , দেখবেন যে আপনার পড়াশোনা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। যদি ব্যাবসায়ী হয়ে থাকেন , দেখবেন যে আগে যেই ডেডিকেশন দিয়ে ব্যাবসা করতেন , তা আর করতে পারছেন না। যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন , তবে দেখবেন যে আগে যতোটা মন দিয়ে কাজ করতেন , তেমন মন দিয়ে কাজ করতে পারছেন না। ধীরে ধীরে আপনার কাজের মনোযোগ ও প্রোডাক্টিভিটি কমছে। যেই আপনি ছিলেন সবচেয়ে best employee, সেই আপনিই ধীরে ধীরে হয়ে যাবেন সবচেয়ে worst employee । এই তো গেলো দুনিয়াবী হিসেব নিকেশ , এবার চলুন দ্বীনের দিকে ফেরা যাক। ফেসবুক আপনার ব্রেইনকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে যে আপনি আর সলাতে আগের মতো প্রশান্তির সাথে মনোনিবেশ করতে পারবেন না। সলাতের মাঝেও আপনার মনে নতুন নতুন পোস্টে...

  বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল পর্যন্ত আমাদের পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের অফিশিয়াল ও এডুকেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ছিলো ইংরেজি। যার কারণে আমরা দেখবো যে আমাদের পূর্ববর্তী যারা বৃটিশ বা পাকিস্তান আমলে পড়াশোনা করেছিলেন, তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ইংরেজি বলতে পারেন। সে সময়ের একজন ক্লাস ফাইভ পাশ ব্যাক্তিও আমাদের চেয়ে ভালো ইংরেজি বলতে পারবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ সে সময়ে মানুষের মুখের ভাষা বাংলা থাকলেও অফিশিয়াল ও এডুকেশনাল ভাষা ছিলো ইংরেজি। কিন্তু ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হলেও অফিসিয়াল ও শিক্ষার ভাষা ইংরেজিই থেকে যায়। যার ফলে আমরা একটা কোয়ালিটিফুল শিক্ষিত জেনারেশন পেয়েছিলাম। মুজিব বা জিয়ার শাসনামলে তারা আর যাই হোক অফিসিয়াল ও এডুকেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ পরিবর্তনের মতো বোকামি করেন নি। তবে এই বোকামিটা করেছে জিয়া পরবর্তী স্বৈরশাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। তার সময়েই অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ ও এডুকেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ বাংলা করে আমাদেরকে ১০০ বছর পিছিয়ে দেয় সে। মূলত পাবলিক সেন্টিমেন্ট কে নিজের দিকে টানতে গিয়ে যে কয়টা কুকর্ম এরশাদ করেছিলো তার মধ্যে তার এই...

  Sit back and relax. Drink some cold water. Then clear your mind and think—who is truly yours? I know that at first, you might say your parents’ names. No doubt, they are the closest people to you in this world. But think about this: when you succeed, they rejoice, their hearts swell with pride. But when you fail, do they stand by you? No, they don’t. Instead, they criticize you. So, who is truly yours? Perhaps now, you might say your spouse or children. But think again—will they stand by you in the most challenging moments of your life? No. Then, who is truly yours? Who is even closer to you than yourself? Do you know who that person is? It is the One who created you, the One who is your Lord—Almighty Allah, the Lord of all worlds. Think about it: whether you succeed or fail, others may abandon you based on your circumstances. But there is one who never leaves you, never forsakes you. He is your Lord, Allah. Even if every door in the world closes to you, the door to your Lord is ...

  In reality, I have never truly been involved in what is commonly understood as politics in Bangladesh. I have never been a direct member of any political party. Yes, I had some trust in a particular political party during my younger years, but as I grew older and became more aware, that trust faded. However, as an educated young person, I was politically conscious before, I still am, and I will continue to be in the future, InshaAllah. That said, I will never actively enter Bangladeshi politics. I do not believe in the democratic political system. Moreover, at the age of 26, I witnessed the ugly and corrupt face of my country's politics, and now I feel disgusted even thinking about it. That is why I will never engage in politics again. Instead, I will lead a simple life like any other ordinary person. I want to spend the rest of my life on my studies, research, and writing. However, if the sovereignty of my country, Islam, and the Muslim identity of Bengal ever come under threat,...

  (Photo: Ranir Dighi in Rainy Season) I was born in Comilla and have grown up in its air and light. Every person here feels like family to me. This city, given to us by Allah, is peaceful and prosperous in history and tradition. Comilla has a unique culture that spans thousands of years. Each neighborhood and alley in this city tells countless stories and holds pieces of history. Many people have lived their lives here, leaving behind remarkable narratives. I had to stay away from Comilla for nearly five years for my higher studies. Although my body was at my university, my heart remained in Comilla. My soul wandered through the familiar alleys as if it had never left. I swear by Allah, not a single day passed without Comilla occupying my thoughts. Finally, after completing my studies, I returned to my birthplace. I spent a wonderful year back home. Every corner of Comilla is beautiful and peaceful. If you visit Kandi Para at night, it feels as though you are walking through the s...

  Alhamdulillah, all praise is to the Almighty Lord who is gradually bringing me from illness to recovery. By Allah’s mercy, I am feeling much better than before. My only prayer to the Almighty is that He grants me complete healing. Finally, after a long time, by Allah’s mercy, I have returned to the field of da'wah. Insha’Allah, from now on, I will engage in da'wah every day. I will not avoid this responsibility unless there is a valid excuse. Calling others to the path of Allah is an essential duty for every Muslim. Therefore, each of us should contribute to da'wah within our level of religious knowledge and capability. No effort in da'wah is small; instead, every action supports the victory of Allah’s religion. Therefore, a da'ee (one who invites others to Islam) should engage in small and large-scale da'wah activities—whether sharing a Quranic verse on social media or participating in an extended discussion. We are all da'ees in our way, so we must not...

  আসলে বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থে রাজনীতি বলতে যেই জিনিশটাকে বুঝায়, তা আমি কোনোদিনই করিনি। সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও কোনোদিন ছিলো না। হ্যা, একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি উঠতি বয়েসে কিছুটা আস্থা ছিলো, বোধ-বুদ্ধি হওয়ার পর সেই আস্থাও উবে গেছে। তবে হ্যা, একজন শিক্ষিত যুবক হিসেবে আমি আগেও রাজনীতি সচেতন ছিলাম, এখনো আছি, আর ভবিষ্যতেও থাকবো, ইনশাল্লাহ। তবে কোনোদিনই আমি সরাসরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নামবো না। এমনিও আমি গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। তার উপর নিজের ২৬ বছর বয়েসে আমার দেশের রাজনীতির যেই কুৎসিত ও কদাকার রূপ দেখেছি, এরপর আর রাজনীতির নাম নিতেও ঘেন্না হয়। তাই কোনোদিনই আর রাজনীতি করবো না। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো সাধারণ জীবন যাপন করবো। নিজের পড়াশোনা, গবেষণা, লেখালেখি এসবেই জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চাই। তবে হ্যা, কখনো যদি নিজের দেশের স্বার্বভৌমত্ব, ইসলাম ও মুসলিম বঙ্গের মুসলিমদের রক্ষার প্রশ্ন আমার সামনে এসে যায়, তবে দেশ রক্ষার জন্য তখন যা যা করা প্রয়োজন তা তাই করবো।

  একটু রিলাক্স ভাবে বসুন। ঠান্ডা পানি খান। তারপর মাথা থেকে সব চিন্তা বের করে দিয়ে ভাবুন তো, আসলে কে আপনার আপন? আমি জানি আপনি শুরুতে আপনার বাবা-মায়ের নাম বলবেন। তারা যে পৃথিবীতে আপনার সবচেয়ে আপনজন মানা করছি না। তবে একবার ভেবে দেখুন তো, আপনার সাফল্যে তারা যতোটা আনন্দিত হন, গর্বে তাদের বুক ভরে যায়। আপনার ব্যার্থতায়ও কি তারা আপনার পাশে থাকেন? না, থাকেন না। তখন তারা আপনাকে ভৎসনা করেন। তাহলে কে আপনার আপনজন? এবার হয়তো আপনি আপনার স্ত্রী বা সন্তানের নাম বলবেন। একটু ভেবে দেখুন তো, তারাও কি আপনার জীবনের জটিল মূহুর্তে আপনার পাশে থাকবেন? না। তাহলে কে আপনার আপনজন? কে আপনার নিজের চেয়েও আপনার বেশি আপন। সেই আপনজনটা আসলে কে জানেন? আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, যিনি আপনার রব। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। ভেবে দেখুন, আপনি সফল হোন বা ব্যার্থ, সেটার উপর নির্ভর করে সবাই আপনাকে ত্যাগ করলেও একজন আপনাকে কোনোদিন ত্যাগ করেন না। আপনাকে ছেড়ে যান না। তিনি হলেন আপনার রব আল্লাহ। দুনিয়ার সব দরজাগুলো আপনার জন্য বন্ধ হয়ে গেলেও আপনার রবের দরজা কিন্তু কোনোদিনই আপনার জন্য বন্ধ হবে না। তাই এখনো কি সময় হয়নি সেই মহান প...