দাওয়াহ, কালচারাল ওয়ারফেয়ার ও ইন্টেলেকচুয়াল রিফর্ম এর উত্তম সময় এখনই
বর্তমান সময়টি হলো ইসলামের প্রচার ও পসারের জন্য সর্বাধিক উত্তম সময়। কারণ এখন আর কোনো বাঁধা নেই। ইসলাম বিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট শক্তির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে মুসলিম বঙ্গের সাধারণ মানুষ। মানুষ এখন মুক্ত, স্বাধীন। এখন তারা স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারবে। দাঁড়ি-টুপির কারণে নির্যাতিত হতে হবে না। বোরখা-হিজাব পড়ার জন্য কেউ কটুক্তি করবে না। নামাজে গেলে গঙ্গী বলবে না। এখন মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজেদের দ্বীন পালন করতে পারবে।
যারা দ্বায়ী আছেন, তাদের উচিত একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। কিছু মিশন, ভিশন, গোল সেট করা এবং সেই অনুযায়ী নিজ নিজ ফিল্ডে কাজ করে যাওয়া। এক মূহুর্ত সময়ও এখন নষ্ট করা যাবে না। কোনো সুযোগই হাত ছাড়া করা যাবে না।
বিশেষ করে তরুণদের প্রতি আমাদের বিশেষ মনোযোগ দেয়া উচিত। তবে বৃদ্ধদেরকেও ছাড়া যাবে না। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধাণ বাঁধা হলো এই সোভিয়েত যুগের হাফ-সেক্যুলাঙ্গার বৃদ্ধরা। এরা নামাজও পড়ে, আবার ৬০ এর দশকের বস্তাপঁচা সেক্যুলাঙ্গারিজম এর বয়ানও পেশ করে। এদেরকেও দাওয়াহ এর মাধ্যমে লাইনে আনতে হবে।
সবচেয়ে বড় লড়াইটা হবে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কালচারাল। চেতনা পূঁজারীদের সময়ে তৈরি করা কলকাতা থেকে আমদানী করা বুদ্ধিবৃত্তিক ন্যারেটিভের কাউন্টার ন্যারেটিভ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। তাদের কথিত কলকাতা থেকে আমদানী করা ‘বাঙালী সংস্কৃতি’র বিপরীতে মুসলিম বঙ্গের ‘বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতি’কে কাউন্টার কালচার হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।
১৫ বছরে দাঁড় করানো সেক্যুলাঙ্গার কালচারাল হেজেমনিকে কবর দেয়ার এটাই উত্তম সময়।