আপনার সন্তানকে লাখ টাকার মোবাইল কিনে না দিয়ে মাঝারি দামের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে দিন
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড়
ফিৎনার নাম হলো মোবাইল। স্মার্ট ফোন নিঃসন্দেহে একটা অতীব প্রয়োজনীয় জিনিশ। এর দ্বারা
আমরা নানা ধরণের জরুরী কাজ সহজে করে থাকি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ স্মার্ট ফোনের ভালো
ব্যাবহারের চেয়ে খারাপ ব্যাবহারটাই বেশি করে। বিশেষ করে উঠতি বয়েসি ছেলে-মেয়ে এমনকি
কোমলমতি শিশুরাও আজকাল স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত।
বাংলাদেশের সন্তানেরা বাবা-মায়ের
কাছে বায়না করে দামী দামী স্মার্ট ফোন কিনে দেয়ার জন্য। বাবা-মা ও আদরের সন্তানের আবদার
ফেলতে না পেরে তাদের স্মার্টফোন কিনে দেয়। এই স্মার্টফোনই হয়ে দাঁড়ায় সন্তানদের ধ্বংসের
কারণ। তারা স্মার্টফোনে সারাদিন পরে থাকে। এমনও দেখা গেছে যে তারা স্মার্টফোনের নেশায়
এতোটাই আসক্ত যে বাবা-মায়েরা নিষেধ করলে আত্মহত্যা করতেও দ্বিধা করে না। তাছাড়া সারাদিন
স্যোশাল মিডিয়ায় পরে থাকা, অবৈধ সম্পর্ক করা, পর্ণোগ্রাফি দেখা সহ এমন কোনো কু-কর্ম
নেই যা আমাদের দেশের উঠতি বয়েসি কিশোর-কিশোরীরা করছে না। এসবের ফলে নানা ধরণের সামাজিক
সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
তা বাবা-মায়েদের প্রতি
বলবো, আপনার সন্তান যখন স্মার্টফোন চাইবে, তখন তাকে স্মার্টফোনের বদলে কম্পিউটার বা
ল্যাপটপ কিনে দিন। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালালে একটি উঠতি বয়েসি কিশোর নিজের স্কিল
ডেভেলপমেন্ট করতে পারে। সামনের পৃথিবীটা মানুষের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। বর্তমানে
দেশের তরুণ সমাজের বড় একটি অংশের বেকারত্বের মূল কারণ হলো প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব
ও ইংরেজি ভাষায় অদক্ষতা। সামনে আরো প্রযুক্তিগত ডেভেলেপমেন্ট হবে। নতুন নতুন প্রযুক্তি
উন্নত দেশে স্রোতের মতো আসছে, এর সাথে তাল মিলিয়ে স্কিলড হতে না পারলে ভবিষ্যতে হয়তো
এই দেশের মানুষ কাজ কর্মহীন বেকার থেকে যাবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের উচ্চশিক্ষার জন্যও
নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতার বিকল্প নেই। কিন্তু মোবাইল তাকে ধ্বংসের
অতল গহ্বরে নিয়ে যায়। তাই সন্তানকে মোবাইল না দিয়ে একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে
কিছু শেখান।