নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো বাবা-মাকে নিতে দিন

 


নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো বাবা-মাকে নিতে দিন। বিশেষ করে বিয়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো বটেই। কারণ বিয়ে এক বা দুই দিনের ব্যাপার না। সারাজীবনের ব্যাপার। আমাদের বাবা-মায়েরা যেহেতু এই বিষয়ে আমাদের চেয়ে প্রাজ্ঞ, তাই বিষয়টা তাদের উপর ন্যাস্ত করে নিজে নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন করাটাই উত্তম।

কিন্তু যারা নিজেদের জীবনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে যান, তাদের ক্ষেত্রে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে। কারণ সেই বয়েসে মন থাকে পাখির মতো উড়ন্ত। যুক্তির চেয়ে আবেগই বেশি কাজ করে সে সময়ে। যার ফলে মানুষ ঠিক-ভুল, ভালো-মন্দ এসব বিচার বিবেচনার সুযোগ পায় না। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিয়ের সিদ্ধান্তটা বাবা-মায়ের উপর ন্যাস্ত করাটাই ভালো।

তবে হ্যা, এই ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। তারা  যখন সন্তানের জন্য বিয়ে দেখবেন, তখন সন্তানের কোনো পছন্দ আছে কিনা জিজ্ঞেস করা উচিৎ। যদি পছন্দ নাও থাকে, তবে যেই  মানুষটির সাথে তাদের সন্তান আজীবনের জন্য এক হতে যাচ্ছে, সেই মানুষটিকে দেখিয়ে পছন্দ হয়েছে কিনা জেনে নেয়া উচিৎ।

সন্তানদের, বিশেষ করে ছেলে সন্তানদের বিয়ে যতো দ্রুত দেয়া যায় ততোই উত্তম। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে বিপথে যাবার সম্ভাবনা কম। তবে ছেলেদের যেহেতু বয়ঃসন্ধিকাল ও তৎপরবর্তী সময়ে শারীরিক ও মানসিক চাহিদাটা বেশি কাজ করে, তাই ছেলেরা বালেগ হবার পরই বাবা-মায়ের ছেলে সন্তানের বিয়ের ব্যাপারে ফিকির করা উচিৎ। বিশ্বাস করুন, বয়ঃসন্ধিকাল পরবর্তী সময়ে ছেলেদের বিয়ে দিলে অধিকাংশ সামাজিক সমস্যা যেমন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি এসব কমে আসবে।

আমাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীদের সময়ে তারা এতো সুখী ছিলো কেনো জানেন? কারণ তারা যৌবনের চৌকাঠে পা দিয়েই নিজের মতো একজন মানুষ পেতো, যে মানুষটা শুধুই তার। যাকে হারানোর ভয় নেই। নেই কোনো লুকোচুরি ও সমাজ থেকে লুকিয়ে রাখার তাড়না।

একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, “Your parents will be choose the best option for you.”

Popular posts from this blog

Water Terrorism of India: A New Weapon to Kill Bangladeshi People

কোনো মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তার উপর গোয়েন্দাগিরি করা ইসলাম সমর্থিত কিনা?

বোধোদয়