আবারো ফিরে এসেছে করোনা মহামারী: আমাদের করণীয় কি?
আবারো ফিরে এসেছে করোনা মহামারী, আরো শক্তিশালী ও ভয়ানক হয়ে। নতুন রূপে ফিরে আসা ভাইরাসটির নাম COVID-Omicron XBB যা আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপদজনক। এই ভ্যারিয়েন্ট এর উপসর্গগুলোও ভিন্ন, যেমন:
১) কাশি নেই
২) জ্বর নেই
৩) অস্থিসন্ধি (হাড়ের জয়েন্টে)
ব্যাথা
৪) মাথাব্যাথা
৫) নিউমোনিয়া
৬) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্য
হারে কমে যাওয়া
এই ভ্যারিয়েন্টটি পূর্বের
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত। যার ফলে মৃত্যুর হারও বেশি। উপসর্গগুলো
অল্প সময়েই ভয়ানক আকার ধারণ করে এবং কখনো কখনো কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা
খারাপ হতে শুরু করে।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাকের
গভীর অংশ তথা নাসোফ্যারেঞ্জিল অঞ্চলে পাওয়া যায় না। এটি সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। কিছু
রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যাথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
নাক থেকে নেয়া স্যাম্পল তথা সোয়াব পরীক্ষায় রিপোর্ট ন্যাগেটিভ আসছে। পরীক্ষার এই ভুল
রিপোর্ট আসার কারণে ভাইরাসটিকে একটি ধূর্ত ভাইরাস বলা হচ্ছে।
মোদ্দা কথায় ভাইরাসটি সহজে
ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট
তৈরি করে। COVID-Omicron XBB ভয়ানক রকমের ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী।
এই ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়:
এই ভাইরাসটি যদিও জনগণের
মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েনি তবে ভয়ানক ছোঁয়াচে হবার কারণে ও বাংলাদেশ ঘনবসতি পূর্ণ
একটি দেশ হবার কারণে দ্রুত ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছে। তাই নিজেদের
ও পরিবারকে রক্ষা করতে হলে যা যা করণীয়:
১) বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক
ব্যাবহার করুন। চোখে বায়ু প্রতিরোধকারী চশমা ব্যাবহার করুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ব্যাবহার
করুন।
২) যাদের মাস্ক ব্যাবহার
করলে শ্বাসকষ্ট বা সাফোকেশন হয় তারা মাস্ক ব্যাবহার না করলেও হাতে পরিষ্কার রুমাল রাখতে
পারেন। যখনি দেখবেন সামনে কোনো ভীড়, ভীড়ে থাকা অবস্থায় সেই রোমাল দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে
নিবেন।
৩) পকেটে স্যানিটাইজার
রাখুন যাতে বাইরে থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে পারেন।
৪) বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে
বাইরে যেসব পোষাক পরিধান করে গিয়েছিলেন তা খুলে দূরে কোথাও রাখুন। হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে
হাত ধুয়ে নিন।
৫) ভীড় এড়িয়ে চলুন।
৬) বাইরের খাবার না খাওয়াই
ভালো। কারণ প্রায় রেস্টুরেন্টের কিচেনেই খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা
হয়।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট
নিয়ে প্যানিকড হবার কিছু নেই। স্বাভাবিক থাকুন। স্বাভাবিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন
আজ কর্ম চালিয়ে যান। একটু সচেতন ভাবে চললে এই ভাইরাসের বিস্তাররোধ করা সম্ভব
সবার সুস্বাস্থ্য ও সুখী
জীবন কামনা করছি।