আবার দাওয়াহ এর ময়দানে ফিরে এলাম

 

আলহামদুলিল্লাহ, সকল প্রসংসা সেই মহান রবের যিনি আমাকে ধীরে ধীরে অসুস্থতা থেকে সুস্থতার দিকে আনছেন। আল্লাহর রহমতে আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছি। মহান রবের নিকট একটাই চাওয়া তিনি যাতে আমাকে পুরোপুরি সুস্থতা দান করেন। অবশেষে আল্লাহর রহমতে দীর্ঘদিন পর দাওয়াহ এর ময়দানে পুনরায় ফিরে এলাম। ইনশাল্লাহ, এখন থেকে প্রতিদিন দাওয়াহ এর কাজ করবো। বিশেষ কোনো ওজর ছাড়া দাওয়াহ এর ময়দান থেকে দূরে থাকবো না। আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের উপর আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দেয়াটা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ নিজের যতোটুকু দ্বীনি জ্ঞান আছে ও যতোটুকু সক্ষমতা আছে তার মধ্য থেকেই আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াহ এর কাজ করা।

দ্বীনের দাওয়াহ এর ক্ষেত্রে কোনো কাজই ছোটো নয়। বরং প্রতিটি কাজই আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের জন্য সহায়ক হয়। তাই দাওয়াহ এর জন্য একজন দাঈ’র ক্ষুদ্র থেকে বড় সকল কাজই করা উচিৎ। হোক সেটা স্যোশাল মিডিয়ায় কোরআনের একটি আয়াত প্রচার করা বা দীর্ঘ কোনো লম্বা আলোচনায় অংশ নেয়া। আমরা প্রত্যেকেই দাঈ। সুতরাং আমাদের এই দায়িত্ব ভুলে গেলে চলবে না।

Popular posts from this blog

Water Terrorism of India: A New Weapon to Kill Bangladeshi People

Image
  India is the world's most dominating imperialist nation in South Asia. This country and its rulers want to control the South Asian region and dominate all the neighboring countries. They treated all the neighboring countries as their colony. India always interferes in the internal politics of the South Asian countries. It is the country responsible for all the problems of South Asian nations. For this reason, all the neighboring countries considered India to be their enemy. India invaded Bangladesh in January 2009 and installed a puppet government led by the Neo-fascist political party Awami League. Sheikh Hasina, the worst dictator of the 21st century, became the puppet Prime Minister of Bangladesh. The brave people of Bangladesh fought against the colonial rule of India in Bangladesh for 16 years. India conducted a vast number of genocides in Bangladesh to suppress the people’s peaceful democratic movement. Finally, on 6 June 2024, the students of Bangladesh protested aga...
Read more

কোনো মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তার উপর গোয়েন্দাগিরি করা ইসলাম সমর্থিত কিনা?

Image
  বর্তমান দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সভ্য বিশ্বের প্রত্যেকটি রাষ্ট্র ও সমাজ প্রত্যেক মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা তথা প্রাইভেসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। অথচ কিছুদিন আগেও বিষয়টিকে দুনিয়ার মানুষ তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখতো না। আমাদের উপমহাদেশ বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ অঞ্চলের অবস্থা তো ছিলো আরো ভয়াবহ। এখানে “ ব্যাক্তিগত ” বলতে কোনো শব্দই ছিলো না। বাংলাদেশের সমাজ হলো চুরান্ত কর্তৃত্ব পরায়ন ব্রাহ্মাণ্যবাদী সমাজ। তাই এখানে মানুষের পার্সোনাল স্পেইস বা ব্যাক্তিগত পরিমন্ডল বলতে কিছু ছিলো না। এখানে ব্যাক্তির প্রত্যেকটা জিনিশ চরম ভাবে সমাজ ও সমাজের মানুষ নজরদারী করতো। এমনকি কঠোর ভাবে তার প্রত্যেকটা কাজে হস্তক্ষেপ করতো। “ ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ” বলতে কিছু যে থাকতে পারে তা সে সময়ে মানুষের ধারণার বাইরে ছিলো। মানুষ ছিলো সমাজের মাতব্বরদের দ্বারা তৈরি করা মানব সৃষ্ট কৃত্তিম এক কাঠামোর দাস। মানুষের তৈরি উদ্ভট ও নিপীড়নমূলক নিয়মকানুনই মানুষকে মেনে চলতে হতো। এমনকি মানুষের পারিবারিক পরিমন্ডল বা ফ্যামেলি স্পেস বলতেও কিছু ছিলো না। পর...
Read more

বোধোদয়

Image
আজ জীবনের ২৬টি বসন্ত পাড়ি দিয়ে এই সুন্দর জান্নাত সম স্থানে এসে যখন দাঁড়ালাম। তখন সত্যিই মনে হলো জীবনকে আমি উপভোগ করিনি। আমি শুধু দৌড়ে গেছি , ছুটে গেছি অবিরাম। জীবনকে আমি অনুভব করিনি। জীবন এতো সুন্দর হতে পারে তা আমার ধারণার বাইরে ছিলো। খোদার তৈরি দুনিয়ায় এতো রঙ , এতো রূপ , এতো আনন্দ , এতো হাসি , এতো আশা - তা এই সুন্দর পরিবেশ এ না এলে বুঝতেই পারতাম না। এ এক মুক্ত পরিবেশ। এখানে আসা মানুষগুলো সবাই মুক্ত, সবাই স্বাধীন। এখানে কারো চোখে কোনো ভয় নেই, নেই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। নেই কপালে দুঃশ্চিন্তার কুঁচকানো ভাঁজ। এখানে তারা শুধুই হাসে। তাদের প্রাণোচ্ছল হাসির ঢেউ আমার তৃষ্ণার্ত মনের শুষ্ক বেলা ভূমিকেও ভিজিয়ে দিয়ে যায়। এক জান্নাতি প্রশান্তি অনুভব করি আমি। তাদের প্রশান্তির হাসি আমি চেয়ে চেয়ে দেখি। কতো মুক্ত তারা , কতো স্বাধীন তারা। আমার আফসোস হয় , যদি আমিও তাদের মতো এমনি করে হাসতে পারতাম। এমনি করে তাদের মতো জীবনকে অনুভব করতে পারতাম। পারতাম প্রতিটি মুহূর্ত বাঁচার মতো বাঁচতে! কিন্তু জানি , সে চাওয়াটা এখন আর সম্ভব নয়। সময় যে অনেকটা গড়িয়েছে। তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল সময়গুলো গেছে অকাজে, অরণ্যে রোদন ...
Read more